রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
*** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***                     *** সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698  ***              সিসি ক্যামেরা সিস্টেম নিতে যোগাযোগ করুন - 01312-556698 ***
সংবাদ শিরোনাম :

সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ১০ ব্যাটেলিয়ান কুমিল্লা বিজিপি তে চাকরি করতেন শাহারুল ইসলাম, পিতা আব্দুস সামাদ, সাং ঝালিঙি, ডোলভাঙ্গা পলাশবাড়ী গাইবান্ধা। একটা সুশৃংখল বাহিনীতে সদস্য থাকা কালীন চাকরি দেওয়ার নাম করে শতাধিক লোকের কাছ থেকে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেয় ।
গাইবান্ধা সদরের বাসিন্দা শামীম মিয়া জানান, গত ৩ বছর আগে তার মামাতো ভাই রহিম বিজিবিতে চাকরির আশায় শাহরুল কে১১ লাখ টাকা দেন। হরিনাবাড়ী এলাকার পাভেল মিয়া জানান সাহারুল পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনজনের নিকট থেকে ১৮ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু একজনের চাকরি হয় নাই। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদান করে! তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে তার বড় ভাই শাহ জামিল। তার গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানাই এই শাহারুল সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় এজেন্ট তৈরি করে রেখেছে। যখন র্যাব বিজিবি আর্মিতে লোক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়, তখন এই শাহারুল তাদের এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকের নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণা বাণিজ্য করে আচ্ছে। সে ছাত্রজীবনে জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল! আর পলাশবাড়ীর ঢোলভাঙ্গা জামাতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত! তার বড় ভাই শাহ জামিল বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে । ৪/৫ বছর আগে জামিল বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়, দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন বগুড়া জেলায়। শাহারুল
একজন বিবাহিত মানুষ, চাকরিরত অবস্থায় রাতের পর রাত তারই এক বন্ধু সেও বিজিবিতে চাকরি করে, তার বউয়ের সাথে পরকীয়া করার কারণে। ছয়টা অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে ৬ মাস জেল খেটে বের হয়েছেন।

জানা যায়, এই শাহারুল আন্ডারগ্রাউন্ড মাফিয়া চক্রের সাথে জড়িত। নিজেকে কখনো মেজর কখনো লেফটেন্যান্ট কর্নেল পরিচয় দেয়। চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জেলায় দৌড়াদৌড়ি করতেছেন। সে মানুষকে বুঝাচ্ছে বিজিবি হেড কোয়ার্টারের তার উচ্চপদস্থ লোকজন রয়েছে। আসলে কোন কিছুই নেই।

চাকরি থাকাকালীন অবস্থায়, তার গ্রামের বাড়িতে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের জমি কেনা সহ একাধিক বাড়ি করেছেন। পলাশবাড়ী উপজেলা সদরে আড়াই কোটি টাকা মুল্যের ছয় তলা বাড়ি নির্মাণাধীন রয়েছে। পলাশবাড়ী শহরে উপকণ্ঠ এক দাগে ২০ বিঘার উপর জমি। এছাড়াও ঢাকাতে দুই থেকে তিনটি বাড়ি কিনেছেন সাহারুল। বিজিবি মতন একটি সুশৃংখল বাহিনীতে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। চাকরি থাকা অবস্থায় সে তার নিজ গ্রাম এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি দখল করে নেয়।

আরো জানা যায় ,সে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকজনের টাকা মেরে খেয়েছে এই সাহারুল। অনেক মেয়েকে বিদেশের চাকরী দেওয়ার নাম করে তাদেরকে পাঠিয়েছে সৌদি আরব সহ বিভিন্ন আরব দেশে। ভুক্তভোগীরা এর বিচার দাবি করেন! একজন মাফিয়া চক্রের সদস্য কিভাবে প্রকাশ্যে জেল থেকে বের হয়ে মানুষের সাথে প্রতারণায় লিপ্ত রয়েছে? এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


Search News




©2020 Daily matrichaya. All rights reserved.
Design BY PopularHostBD